Wednesday, June 27, 2018

মন সর্বদা ভালো রাখার উপায়

অনেক কারনেই বিষণ্ণতায় ভোগেন থাকেন মানুষ। পারিবারিক সমস্যা, সম্পর্ক জনিত সমস্যা, কাজের বিফলতাসহ নানা কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ বিষণ্ণ হয়ে পড়ছেন। বিষণ্ণতা আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ক্ষতিকর মনে না হলেও বিষণ্ণতা এক ভয়ানক ব্যাধি।যা মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। বিষণ্ণতার সুদূরপ্রসারী ফলাফল মোটেই ভালো নয়। যারা প্রায় সময়ই বিষণ্ণতায় ভোগেন তাদের মধ্যে আত্মহত্যা করার প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়। তাই বিষণ্ণতাকে অবহেলা নয়।
বিষণ্ণতা দূর করতে সচেষ্ট হতে হবে। নতুবা মাত্রাতিরিক্ত বিষণ্ণতার দরুন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে মনের অজান্তেই। আপনি যদি কোনো কারণে নিজেকে কিংবা কোনো আপনজনকে  বিষণ্ণ দেখতে পান তবে তা অবহেলা না করে দূর করার কাজে নেমে পড়ুন। এতে করে আপনি মারাত্মক কোনো অঘটন থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

মানুষের মন নানা বিষয়ে, বিভিন্ন কারণে খারাপ হতে পারে। আসুন, জেনে নেয়া যাক মন খারাপকে ভালো করতে প্রতিদিন যে কাজগুলো করতে পারেন আপনি। নিয়মিত কাজগুলো করুন।

প্রতিদিনের একটি রুটিন তৈরি করুন : বিষণ্ণতায় ভোগলে জীবনের মূল্যবোধ থেকে দূরে সে আসা হয়। কোনো রুটিন থাকে না। তাই সর্বপ্রথম একটি রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন। রুটিন মেনে চলা আপনাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারবে এবং বিষণ্ণতা থেকে দূরে রাখতে পারবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন : গবেষকদের মতে, শারীরিক ব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামক হরমোনের নিঃসরণ ঘটায় ,যা আমাদের ভাললাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে এই হরমোনের উৎপাদন আপনাকে রাখবে বিষণ্ণতা মুক্ত। যদি ব্যায়াম করতে না পারেন তবে হেঁটে আসুন খানিক ক্ষন। ভালো লাগবে।

পরিমিত ঘুমান : যারা বিষণ্ণতায় ভোগে থাকেন তাদের বেশিরভাগেরই রয়েছে অনিদ্রা জনিত সমস্যা। রাতে ঘুম না হলে বিষণ্ণতা আরও চেপে বসে মাথায়। তাই প্রথমে অনিদ্রা দূর করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম করে ঘুম আনতে হবে চোখে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খেতে পারেন।

ইচ্ছে করে কাজের দায়িত্ব নিন : বাসাবাড়িতে কিংবা কর্মক্ষেত্রে আপনাকে কাজ না দিলেও নিজে থেকে ইচ্ছে করে কাজের দায়িত্ব নিন। এর কারণ হলো আপনি যতক্ষণ কাজে ব্যস্ত  থাকবেন ততক্ষণ আপনার মধ্যে কোনো ধরণের বিষণ্ণতা ভর করবে না। এভাবে নিয়মিত কাজ করলে আপনার বিষণ্ণতা দূরে পালাবে।

নিজে নিজে লক্ষ্য স্থির করুন : আপনি যদি দিনের অনেকটা সময় বিষণ্ণ হয়ে ঘরের কোণে কাটান তবে আপনার অবশ্যই নিজেকে এর থেকে বের করার জন্য কাজ করতে হবে। নিজে নিজে একটি লক্ষ্য স্থির করে নিন। আপনাকে নতুন কিছু করতে হবে এই লক্ষ্য মেনে কাজ করলে বিষণ্ণতা ভুলে থাকতে পারবেন। এবং কিছুদিনের মধ্যেই বিষণ্ণতার বিষ দূর হবে আপনার মন থেকে।



নিজের নেতিবাচক চিন্তাকে নিজেই চ্যালেঞ্জ করুন : আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, আমি পারবো না, আমাকে কেউ ভালবাসে না ইত্যাদি নেতিবাচক চিন্তা বিষণ্ণতা ডেকেই আনে না, বিষণ্ণতা বাড়ায়ও। তাই এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তাকে ঝেড়ে ফেলতে নিজেকেই নিজে চ্যালেঞ্জ করুন। চ্যালেঞ্জ জিতে নিজেকে ভুল প্রমানের মাঝেও আনন্দ খুঁজে পাবেন। দূর হবে বিষণ্ণতা। আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। অন্যরা পারলে আমিও অবশ্যই পারবো এই মনোবল সৃষ্টি করতে হবে।

মোজায় দুর্গন্ধ হলে কী করবেন?


পা ঘামছে সারা দিন! জুতা পরার উপায় নেই! কারণ, শরীরের অন্যান্য অংশে ঘাম না হলেও, মোজায় ভেজা বা চটচটে ভাব। কিন্তু জুতা খোলার উপায় নেই। কারণ, জুতা খুললেই প্রচণ্ড দুর্গন্ধ! মোজায় পারফিউম বা পাউডার মেখেও লাভ হয় না। জেনে নিন কীভাবে মুক্তি পাবেন এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে।

১. সুতির মোজা ব্যবহার করুন।
২. যাদের এমন সমস্যা হয়, তাদের ঘন ঘন চা বা কফি না খাওয়াই ভালো।
৩. মসলাদার (স্পাইসি) খাবারদাবার এড়িয়ে চলুন।
৪. সপ্তাহে অন্তত একবার জুতার ভেতরে সুগন্ধি পাউডার দিয়ে, ভালো করে কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
৫. মাঝেমধ্যে জুতাগুলোকে রোদে দিন।
৬. একই মোজা দু’দিন ব্যবহার করবেন না।
৭. নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখুন।
৮.বাইরে থেকে ঘরে ফিরে গরম পানিতে একটু লবণ ফেলে ভালো করে পা ধুয়ে নিন।
৯. ভালো করে পা মুছে, ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

ট্রায়াল রুমের গোপন ক্যামেরা বুঝবেন কী করে?

মার্কেটে, বিউটি পার্লারে বা নানা স্থানে ট্রায়াল রুমের গোপন ক্যামেরা বুঝতে না পেয়ে নিজের অজান্তেই নানা অপরাধের শিকার হচ্ছে নারী।  ট্রায়াল রুমে লুকিয়ে রাখা গোপন ক্যামেরায় কখন নারীর আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও তোলা হচ্ছে তা টেরও পাওয়া যায় না!

মার্কেটে ট্রায়াল রুমে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখার ঘটনা বারবার প্রকাশ পেয়েছে।
কিন্তু কী করে বুঝবেন ট্রায়াল রুমে কোনো ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয়েছে কিনা? আসুন জেনে নেয়া যাক ট্রায়াল রুমের গোপন ক্যামেরা বোঝার উপায়।

১. প্রথমে ট্রায়াল রুমে বা বাথরুমে লাগানো কাচ ভালো করে পরীক্ষা করে নিতে হবে। কাচের ওপর একটি আঙুল রেখে দেখুন। যদি দেখেন কাচের ওপর রাখা আঙুল আর আয়নায় দেখতে পাওয়া আঙুলের প্রতিফলনের মধ্যে সামান্য দূরত্ব রয়েছে, তাহলে বুঝবেন সব ঠিক আছে। কিন্তু যদি আয়নার ওপর রাখা আঙুল আর তার প্রতিফলনের মধ্যে কোনো দূরত্ব না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এক্ষেত্রে কোনো কারসাজি নিশ্চয়ই আছে! কেউ হয়তো আয়নার পেছনে ক্যামেরা লুকিয়ে রেখেছে।

২. ট্রায়াল রুমে ঢুকে সব লাইট বন্ধ করে দিয়ে চারদিকে তাকিয়ে দেখুন। ঘরের মধ্যে কোথাও লাল বা সবুজ আলোর বিন্দু দেখা গেলে বুঝবেন যে সেখানে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয়েছে।

৩. বর্তমানে বাজারে এমন স্মার্টফোন বা ক্যামেরা পাওয়া যাচ্ছে যা অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করে আপনা থেকেই অন হয়ে যায়। কিন্তু এই ফোন বা ডিভাইসটি অন হওয়ার সময়ও একটি আওয়াজ শোনা যায়। অনেক সময় কোনো আওয়াজ না হয়ে ভাইব্রেশনও হতে পারে।

৪.  আজকাল এমন অনেক ক্যামেরা পাওয়া যায় যা হ্যাঙ্গার, বোতাম, চশমা, পেন, হুক, জুতা বা বেল্টের মধ্যে অনায়াসে লুকিয়ে রাখা যায়। তাই ট্রায়াল রুমে ঢুকে ভালো করে চারপাশের জিনিসগুলো খতিয়ে দেখে নিন। অনাবশ্যক কোনও জিনিসপত্র সেখানে থাকলে সতর্ক থাকুন।

নারীর জন্য সবচেয়ে বিপদজনক ভারত

বিশ্বে নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপদজনক দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারত। ভারতে নারীদের প্রতি যৌন হয়রানি ও জোরপূর্বক শ্রমের কারণেই দেশটি শীর্ষে রয়েছে। কুপ্রথা, যৌন নিগ্রহ ও নারী পাচারের ক্ষেত্রে এক নম্বরে রয়েছে ভারত। বাকি সূচকগুলোতে কোথাও দুই, কোথাও তিন নম্বরে রয়েছে দেশটি। ২০১২ সালে ভারতে যৌন নির্যাতনবিরোধী কঠোর আইন করা হয়। এরপরও দেশটিতে প্রতিদিন পুলিশের কাছে প্রায় ১০০টি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আসে। দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দেশটিতে ৩৯ হাজার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।
থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন প্রকাশিত এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। সাত বছর আগে প্রথম এই সমীক্ষা করেছিল রয়টার্স ফাউন্ডেশন। সেই তালিকায় ভারত ছিল চার নম্বরে। তালিকার শীর্ষে ছিল আফগানিস্তান। সাত বছর পর আফগানিস্তান নেমে এসেছে দুই নম্বরে।
পৃথিবীর ৫৫০ জন বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। নারীস্বাস্থ্য, লিঙ্গবৈষম্য, যৌন নিগ্রহ, নারী পাচার, জোর করে শ্রম আদায়, জোর করে বিয়ে এই ছয়টি বিষয়ের ভিত্তিতে সমীক্ষাটি করা হয়েছে। তালিকার শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে নয়টিই এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার। আর দশম অবস্থানে থাকা একমাত্র পশ্চিমা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। টুইটারে ‘মি টু’ প্রচারণার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নারীর ওপর যৌন সহিংসতার চিত্র সম্প্রতি সামনে বড় করে এসেছে।
নারীর জন্য বিপদজনক এই দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে সিরিয়া, চতুর্থ সোমালিয়া ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে সৌদি আরব। তবে নারীর অর্থনৈতিক প্রবেশাধিকার, কাজের স্থান ও সম্পত্তির অধিকারের বৈষম্যের দিক দিয়ে সৌদি আরব দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বিপদজনক দেশের তালিকায় ছয় নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান।

Tuesday, June 26, 2018

ইরানের সাথে যৌথভাবে নতুন ছবি বানাবেন অনন্ত জলিল

বাংলাদেশী সিনেমায় অনন্ত জলিল নামটি বেশ পরিচিত। বড় বাজেটের ছবি বানানোর কারণেই তার নাম ছড়িয়ে পড়েছে খুব দ্রুত। কিন্তু অনেকদিন চলচ্চিত্রে নেই তিনি। সময় দিচ্ছেন ব্যবসায়, সমাজ সেবায়। পাশাপাশি গেল বছর থেকেই তিনি মন দিয়েছেন ধর্ম কর্মে। ধর্ম শুধু পালনই করছেন না, এর প্রচার ও প্রসারেও ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। নিয়মিতই অংশ নিচ্ছেন তাবলিগ জামাতে। মাঝখানে অভিনয় থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি নতুন করে ছবি বানানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে চলচ্চিত্রের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

অনন্ত জলিল নতুন ছবি বানাবেন ইরানের সাথে যৌথভাবে। নাম ‘দিন : দ্য ডে’। এ ছবি নির্মাণের ব্যাপারে ইরানের ফারাবি সিনেমা ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলীরেজা তাবেশের সাথে আলোচনায় বসেন অনন্ত। গত ১৮ জুন ইরানের তেহরানে ফারাবি সিনেমা ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে তাদের মধ্যে এ আলোচনা হয়। এরপর অনন্ত তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানান, ইরানের সাথে যৌথভাবে ছবি নির্মাণ করবেন তিনি। এ জন্য ফলপ্রসূ আলোচনাও হয়েছে।

জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, তা-ই তুলে ধরা হবে ‘দিন : দ্য ডে’ ছবিতে। অনন্ত জলিলের সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি ইরানি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আলীরেজা তাবেশ। তেহরান টাইমসকে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে ইসলামের অনুসারীরা বেশ কঠিন সময় পার করছেন। এ বিষয় নিয়ে সিনেমা নির্মাণ আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। বাংলাদেশি প্রযোজক ও অভিনেতা অনন্ত জলিল বিষয়টি নির্বাচন করেছেন সেজন্য তাকে বিশেষ ধন্যবাদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনন্ত জলিলের সাথে যৌথ প্রযোজনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইসলাম নিয়ে এমন একটি ছবি নির্মাণ অনন্ত জলিলের মতো আমরাও জরুরি মনে করি। দুই দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি নির্মিত হবে, এটা অবশ্যই সুসংবাদ।’ এ আলোচনার ব্যাপারে অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমি আমার ভাবনা তাদের শুনিয়েছি। সব শুনে তারাও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সিরিয়া, ইয়েমেনসহ বিশ্বের অনেক দেশে মুসলমানদের নির্যাতন করা হচ্ছে। বিষয়গুলো এ ছবিতে তুলে ধরতে চাই আমি।’
ছবিতে অনন্ত জলিল নিজেও অভিনয় করবেন। তার সাথে থাকবেন বর্ষা। ইরানের সুন্দর ও নয়নাভিরাম স্থানগুলো এ ছবির জন্য খুবই প্রয়োজন বলে সেখানেই শুটিং করতে ইচ্ছুক অনন্ত। তবে বাংলাদেশেও ছবিটির শুটিং করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়দের পায়ে বল মানেই ধারাভাষ্যকারদের মুখে ‘সন, সন আর সন’

মাত্র সাড়ে তিন লাখ লোকের দেশ আইসল্যান্ড। নরডিক দেশটির বিশ্বকাপে অংশগ্রহণই একটা চমক। তবে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিষেকের জন্য যেন আরও বড় চমক জমিয়ে রেখেছিল তারা। জমাট রক্ষণে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে রুখে দিয়ে এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল আইসল্যান্ড। তবে ‘বিগিনারস লাক’ ফুরিয়েছে পরের দুই ম্যাচেই, নাইজেরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হার এবং ক্রোয়েশিয়ার কাছে ২-১ গোলের হার। তবে মাঠে শুধু আইসল্যান্ডের খেলাই তাদের দিকে আলাদা দৃষ্টি দেওয়ার একমাত্র কারণ নয়। আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়দের পায়ে বল মানেই ধারাভাষ্যকারদের মুখে ‘সন, সন আর সন’!

খেলোয়াড়দের  নামগুলোই দেখুন—হলডরসন, স্যাভারসন, আরনাসন, সিগুর্ডসন, মাগনুসন, গিসলাসন, গুনারসন, সিগুর্ডসন (আরেকজন), বিয়ারনাসন, ফিনবোগাসন ও বোডভারসন, ইনগাসন, সিগুরডার্সন ও স্কুলাসন, গুডমুন্ডসন! ধারাভাষ্যকারদের নাভিশ্বাস উঠতে আর কী লাগে!

প্রশ্ন জাগা খুব স্বাভাবিক, আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়দের সবার নামের শেষে সন কেন? তাঁদের সবার পদবিই কি এক? উত্তর জানতে, জানতে হবে আইসল্যান্ডের একটুখানি ইতিহাস। আইসল্যান্ডিক মানুষদের নামকরণের রীতি ইউরোপের অন্য দেশগুলোর থেকে আলাদা। আইসল্যান্ডের মানুষের নামের শেষে পূর্বপুরুষদের নামের শেষের অংশ সরাসরি যুক্ত হয় না; বরং পদবি আসে সরাসরি বাবার নাম থেকে, ক্ষেত্রবিশেষে মায়ের নাম থেকে, যদি মা পরিবারের প্রধান হন।

তো ধরা যাক কারও নাম ইনগা্র। আর তাঁর বাবার নাম হাসিম মুলারসন। তবে  ইনগারের পুরো নাম হবে ইনগা্র হাসিমসন। আর হাসিম মুলারসনের রিটা নামে কোনো মেয়ে থাকলে, তাঁর পুরো নাম হবে রিটা হাসিমসডটির। সন যেমন ছেলেদের পদবি, তেমনি ডটির হলো মেয়েদের পদবি। আইসল্যান্ড ফুটবল দলের সবাই যেহেতু ছেলে, তাই সবার নামের শেষে স্বভাবতই বসেছে সন। নামকরণের এই ঐতিহ্য আগে সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্কে থাকলেও এখন চালু আছে কেবল আইসল্যান্ডে ও সুইডেনের কিছু অংশে।
আইসল্যান্ডিকদের নামের প্রথম অংশ রাখার ক্ষেত্রেও আইসল্যান্ডিক নাম-নির্ধারণ কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হয়। যদি নামের সব অক্ষর আইসল্যান্ডিক অক্ষরের না হয়, নাম যদি পদবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তবে সেই নাম কমিটি বাতিল করে দেয়!


এই সন ধারার ব্যতিক্রমও কিন্তু আছে। আছে এই আইসল্যান্ড দলেই। বিশ্বকাপের দলের তিন গোলকিপারের একজনের নাম ফ্রেডেরিক স্ক্রাম (২৩ জনের দলের একমাত্র ব্যতিক্রম)। বংশপরম্পরায় কোনো পদবি চলে আসলে (যদিও সেটা আইনত বৈধ হতে হবে!) এই নিয়মের ব্যতিক্রম হওয়া সম্ভব। আইসল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাম যেমন গের হার্ডে, ফুটবল তারকা আইডুর গুডইয়ানসেন, চলচ্চিত্র পরিচালক বালতাসার করমাকুর সাম্পার।

অদ্ভুত ব্যাপার হলো, পুরুষদের নারীজাতীয় নাম এবং নারীদের পুরুষজাতীয় নাম দেওয়া আইনত অবৈধ। ২০১৩ সালে এক মেয়ের নাম ‘ব্ল্যার’ রাখা না রাখা নিয়ে কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল তাঁর বাবা-মা! দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর মেয়েটির নাম শেষ পর্যন্ত ব্ল্যারই ছিল।

উপহার নিয়ে না জানানোয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জরিমানা

উপহার হিসেবে দুটি সানগ্লাস পেয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কিন্তু সময় মতো উপহারের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন নি। আর এজন্যই তাকে জরিমানা করা হলো ১০০ ডলার। আর জরিমানা করেছে সেদেশের পার্লামেন্টের নীতিশাস্ত্র পর্যবেক্ষকরা। মূলত কানাডার ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট আইনের’ অধীনে, সরকারি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, কর্মচারী যদি ২০০ ডলার বা তার বেশি মূল্যের কোনো উপহার পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তা প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে জনসমক্ষে জানাতে হবে বা প্রকাশ করতে হবে। তবে ট্রুডো তেমনটি করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে এ জরিমানা গুণতে হয়েছে। পি.ই.আই. প্রিমিয়ার ওয়েড ম্যাকলচলান গত গ্রীষ্মে  সানগ্লাস জোড়া উপহার দিয়েছিলেন ট্রুডোকে। সানগ্লাস দু’টির একটির মূল্য ৩০০ ডলার ও অপরটির মূল্য ২০০ ডলার। খবর সিবিসি’র।

সিবিসির খবরে আরও বলা হয়, উপহার হিসেবে ৫০০ ডলার মূল্যমানের সানগ্লাস দু’টি গ্রহণের ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি ট্রুডো। এতে ‘স্বার্থের সংঘাত’ বা ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট আইনের’ অধীনে তাকে ১০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে উল্লেখ করেন পার্লামেন্টের নীতিশাস্ত্র পর্যবেক্ষকরা। তবে জরিমানা যথাসময়ে পরিশোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ১৮ জুন তিনি তার জরিমানার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেন।

প্রধানমন্ত্রীর জরিমানার বিষয়টি অটোয়া ভিত্তিক ওয়েবসাইট ব্লাকলকস রিপোর্টার সর্বপ্রথম প্রকাশ করে। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এর আগেও ‘স্বার্থের সংঘাত আইন’ লঙ্ঘন করেছেন বলে জানা যায়। ২০১৬ সালে একটি ব্যক্তিগত হেলিকপ্টারে চড়ে আগা খানের মালিকানাধীন একটি ব্যক্তিগত দ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ট্রুডো। সেসময়ও তিনি ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট আইন’ লঙ্ঘন করেছিলেন বলে গত বছর জানানো হয়।

এছাড়া পার্লামেন্টের নীতিশাস্ত্র পর্যবেক্ষকরা সে দেশের অর্থমন্ত্রীকে ও ২০০ ডলার জরিমান করেছেন। কারন তিনি ফ্রান্সে একটি কর্পোরেশনের মালিক সেটা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন নি।

Monday, June 25, 2018

আম যখন ওষুধ

আম অনেক উপকারী একটি ফল। আমের এই মৌসুমে নিয়মিত আম খেলে অনেক রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রেহাই পাবেন। আম একটি ওষুধও বটে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে : 
আমে বিদ্যমান বিটা-ক্যারোটিন এবং ক্যারোটেনয়েড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেকটা।

হজমে সহায়ক আম : 
আমে বিদ্যমান বিশেষ ধরনের এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে। আমের মধ্যে থাকা ফাইবার বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নে : 
সপ্তাহে ৩-৪ বার আমের রস দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করলে ত্বকের পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। এতে ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলিও খুলতে শুরু করে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়।


অ্যাজমা প্রতিরোধ করতে :
আমে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। শরীরে ভিটামিন সি এর মাত্রা বৃদ্ধি অ্যাজমা প্রতিরোধে দারুণ সহায়ক ।

ক্যানসার প্রতিরোধে : 
কুয়েরসেটিন, আইসোকুয়েরসেটিন, অ্যাস্ট্রাগেলিন ফিসেটিন, ফলিক অ্যাসিড, মাথাইল গ্যালেট প্রভৃতি উপাদান রয়েছে আমে। এ উপাদানগুলেো কোলোন, ব্রেস্ট, লিউকেমিয়া এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে : 
আমে আছে ভিটামিন-এ, যা আপনার দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাবে।

হৃদরোগ প্রতিরোধে : 
আমে বিদ্যমান ফাইবার, পেকটিন এবং ভিটামিন সি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর ফলে, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।


গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী আম : 
আমের মধ্যে থাকা আয়রন, ভিটামিন এ, সি এবং বি৬ গর্ভবতী নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর ফলে, গর্ভাবস্থায় শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা কমে যায় অনেকটা।